অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপে পর পর দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এবার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে মহাদেশীয় এই টুর্নামেন্টে খেলতে যায় যুবা টাইগাররা। জয়ে দিয়ে এবারের আসর শুরু করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে আজিজুল হক তামিমের দল।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানরা। ফয়সাল শিনজাদার সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে হ্যাটট্রিক শিরোপার হাতছানি রয়েছে বাংলাদেশ দলের সামনে। ২০২৩ সালে মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেতৃত্বে প্রথমবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল তারা। গত বছর টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে অধিনায়কত্ব করা আজিজুল হাকিম তামিম এবারও আছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের দায়িত্বে।

৪৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া জাওয়াদ আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নেন ৯৬ রানে। তার ১১২ বলের ইনিংসে চার নয়টি ও ছয় ছয়টি। রিফাত ৬০ বলে ফিফটি স্পর্শ করে আউট হন ৬২ রানে। তার ৬৮ বলের ইনিংসে চার পাঁচটি ও ছয় দুটি। তিনে নামা আজিজুল দুটি চার ও তিনটি ছক্কায় করেন ৪৮ বলে ৪৭ রান।

পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৭৬ রান তুলে দুই ওপেনার বেঁধে দেন সুর। পঞ্চদশ ওভারে উদ্বোধনী জুটির রান পেরিয়ে যায় একশ। রিফাত ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ভাঙে তাদের ১৬০ বলে ১৫১ রানের জুটি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি নার্ভাস নাইন্টিজে আটকা পড়া জাওয়াদ। দুজনই হন রুহুল্লাহ আরবের শিকার। তৃতীয় উইকেটে কালাম সিদ্দিকিকে (৩৬ বলে ২৯ রান) নিয়ে আরেকটি ভালো জুটি গড়েন আজিজুল। তারা যোগ করেন ৭১ বলে ৬৬ রান।

অনায়াস জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কালামের বিদায়ের পর ঘটে ছন্দপতন। ২৮ রানের মধ্যে পড়ে যায় ৪ উইকেট। আজিজুল আউট হওয়ার পর একই ওভারে রানআউটে কাটা পড়েন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও সামিউন বশির। বলপ্রতি রানের চাহিদা কম থাকায় অবশ্য চাপ জেঁকে বসার সুযোগ পায়নি। যেটুকুও ছিল, তা উবে যায় ১০ বলে ১৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটিতে।

দুই দলের স্কোর সমান থাকা অবস্থায় ৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৩ রান করা শেখ পারভেজ জীবন ফিরলেও রিজান হোসেন ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন। তিনি একটি চার করেন ১৩ বলে অপরাজিত ১৭ রান। মুখোমুখি হওয়া তৃতীয় বলে জয়সূচক রানটি আনেন শাহরিয়ার আহমেদ।

এর আগে আফগানদের সাত ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছালেও সব আলো কাড়েন ফয়সাল খান। তিনে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তিনি খেলেন ১০৩ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। ৯৪ বল খেলে আটটি চার ও চারটি ছয় হাঁকান তিনি। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ছয় ইনিংসে এটি তার তৃতীয় শতক। তবে তার প্রচেষ্টা শেষমেশ যায় বিফলে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন শাহরিয়ার ও ইকবাল হোসেন ইমন।